Breaking News

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: অবৈধ ক্যাম্পাসের আড়ালে সনদ বাণিজ্য


২০১৪ সেপ্টেম্বর ০৪ ০৬:৩৪:৪২
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই গড়ে উঠেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ ক্যাম্পাস। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত চলছে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম। কোর্স ও প্রোগ্রাম-পাঠ্য বিষয়েরও সরকারি অনুমোদনের কোনো বালাই নেই। অনেকটা অবৈধ ক্যাম্পাসের আড়ালে চলছে সনদ বাণিজ্য। আর উচ্চ শিক্ষার তীব্র আকাক্সক্ষা এবং আসন সঙ্কটের কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে শিক্ষা জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করছেন শিক্ষার্থীরা। আবার অনেকেই এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে নানাভাবে লাখ লাখ টাকা গচ্চা দিচ্ছেন। যদিও প্রতারণার ফাঁদ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় সরকার বৈধ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। তারপরও সেখানে রয়েছে বিতর্কিত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা। যেগুলো প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই সনদ বাণিজ্যে জড়িত রয়েছে।

চলতি বছর উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা যাতে প্রতারিত না হয়, সেজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি অবৈধ ক্যাম্পাস উচ্ছেদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের চিঠি দিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে ত্বরিত ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দিয়েছে। তবে ১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ ক্যাম্পাস নিয়ে ভয় ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার জন্য চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করছে। এই ১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না করাই উত্তমবলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা।


এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, দারুল ইহসান, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ইউএসটিসি), ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব চিটাগাং (আইআইইউসি), বিজিসি ট্রাস্ট, নর্দান ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিস (আইইউবিএটি), কুইন্স ইউনিভার্সিটি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, পিপলস ইউনিভার্সিটি। এছাড়া গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ অনুমোদন প্রাপ্তির পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বিষয়ে কিছুই জানে না ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 


অভিযোগ উঠেছে, দেশের এই ১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মামলার জাল ফেলে সনদ বাণিজ্য ও অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই অপকর্ম করছে। আর এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই বারবারই আদালতে রায় নিয়ে অব্যাহত রেখেছে তাদের কার্যক্রম। মন্ত্রণালয়ও আদালতের সম্মানার্থে কোনো ধরনের অ্যাকশনে যেতে পারছে না। আর এই সুযোগে দিন দিন বাড়ছে তাদের অপকর্ম এবং যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ব্যক্তিও যুক্ত হচ্ছে এই বাণিজ্যে। এ পরিস্থিতিতে এবার এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মামলা এক সঙ্গে শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে হাইকোর্টে একটি বেঞ্চ গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।


মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্র জানায়, এর বাইরে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ ক্যাম্পাসের ব্যাপারে আদালতে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই, সেসব ক্যাম্পাস পুলিশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে।


এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অব্যাহত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ জুলাই অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে বৈঠক হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বেঞ্চ গঠনের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়। বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে আইন শাখা থেকে শিক্ষা সচিবকে প্রতিবেদন দেয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩১টি মামলা বর্তমানে হাইকোর্টে রয়েছে। আরও ৮টি মামলা রয়েছে নিম্ন আদালতে।


দেশজুড়ে অবৈধ ক্যাম্পাস

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হলেও অবাধেই দেশজুড়ে চলছে অবৈধ ক্যাম্পাসের শিক্ষা কার্যক্রম। এসব ক্যাম্পসের আড়ালে গড়ে উঠেছে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের নিরাপদ ও স্বল্প সময়ে কোটি টাকা কামানোর কেন্দ্র। আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হলেও এসব ক্যাম্পাস ভর্তি ও পরামর্শ কেন্দ্রের নামে পলিচালিত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সার্টিফিকেট বিক্রি এবং শিক্ষা বাণিজ্য অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হওয়ায় সারাদেশের বড় বড় শহরগুলোতে অবাধে গড়ে উঠেছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস। এগুলোতে একদিকে যেমন চলছে সার্টিফিকেট বিক্রি। অন্যদিকে চলছে শিক্ষার নামে অবাধে বাণিজ্য। এসব ক্যাম্পাসে নামমাত্র পাঠদানে লিপ্ত স্থানীয় স্কুল এবং কলেজের এক শ্রেণীর শিক্ষকরা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ১/২টি রুম ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে অফিস রুম। নেই ক্লাস রুম কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠার কোন অবকাঠামো। শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়ে নামমাত্র ক্লাস ও পরীক্ষার পর দেয়া হচ্ছে সার্টিফিকেট। আর এসব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কোন কোনটিতে ক্লাস নিচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। আর টাকার বিনিময়ে উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট নিয়ে যাচ্ছেন অফিসের পিয়নও। মামলার দোহাই দিয়ে এগুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না শিক্ষা প্রশাসন। এমনকি সারাদেশে কতটি অননুমোদিত ক্যাম্পাস রয়েছে তার সঠিক তথ্যও নেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসিতে। দেশে বর্তমানে ৭৯টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ৫৬টি, চট্টগ্রামে ১১টি, রাজশাহীতে ৫টি, খুলনায় ২টি, সিলেটে ৪টি এবং বরিশালে ১টি। আর এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় দুডজন বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা বিকাশের নামে দেশব্যাপী সনদ বাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছে।


১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। তবে এগুলোর মধ্যে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে শাখা ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। ইউজিসি নির্দেশ অমান্য করে শাখা ক্যাম্পাস চালাচ্ছে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। আর অনিয়মের কারণে একটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হলেও তারা বিভিন্ন জায়গায় শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে।


দেশে সবচেয়ে বেশি অবৈধ আউটার ক্যাম্পাস চলছে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকরা চারভাগে বিভক্ত হয়ে সারাদেশে কমপক্ষে তিন শতাধিক অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। কিন্তু আইনের দোহাই দিয়ে অবৈধ ক্যাম্পাসের বিরুদ্ধে বরাবরই নির্বিকার রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, এ সংখ্যা ১০৪টি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দারুল ইহসানের পর সবচেয়ে বেশি আউটার ক্যাম্পাস চলছে প্রাইম ইউনিভার্সিটির। এই ইউনিভার্সিটির মালিকরাও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, উত্তরা, বারিধারা ও ধানমন্ডিতে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ধানমন্ডির ইবাইস ইউনিভার্সিটির নামে উত্তরা ও মোহাম্মদপুরে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে অননুমোদিত ক্যাম্পাস পরিচালিত হচ্ছে।


সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম শহরের এমএম আলী রোড, দামপাড়া, ওআর নিজাম রোড এবং হালিশহরে অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে এগুলো চলছে। নর্দান ইউনিভার্সিটির বনানী ও ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের ক্যাম্পাস দুটি বৈধ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়টি অবৈধভাবে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও ঢাকা কলেজের বিপরীত দিকে মিরপুর রোডে গ্লোব সেন্টারে ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। এছাড়া আদালতের রায়ে রাজশাহীতে দুটি ও খুলনায় শাখা (আউটার) ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি আদালতের রায় নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের ওআর নিজাম রোডে অননুমোদিত ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। এছাড়াও বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ঢাকায় ১টি অবৈধ ক্যাম্পাস রয়েছে। ইউজিসির নির্দেশ অমান্য করে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের মতিঝিলের টয়েনবি সার্কুলার রোডে অবৈধ একটি ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। এছাড়া এশিয়ান ইউনিভার্সিটি রাজশাহী ও খুলনায় ২টি অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালানা করেছে। অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরা, পান্থপথ, পুরানা পল্টন লেন, মিরপুর-১ নম্বরে মিরপুর রোডের ক্যাপিটাল টাওয়ারে অবৈধভাবে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উত্তর বাড্ডা, আল রাজি কমপ্লেক্স, দিগন্ত টিভি ভবন, পুরানা পল্টন ও মালিবাগে অবৈধ ক্যাম্পাস রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব চিটাগাং (আইআইইউসি) চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে এবং আদালতের নির্দেশনা নিয়ে ঢাকায় একটি ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া রাজশাহীর কাজলার দেবীসিংপাড়ায় শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে।


অনিয়মের কারণে বন্ধ করে দেয়া আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ক্যাম্পাস রয়েছে। অবৈধ কার্যক্রমের কারণে বেশ কয়েক বছর আগে কুইন্স ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে সরকার বন্ধ করে দেয়। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয় দুটিই মামলা করে ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক দশা আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির। এই প্রতিষ্ঠানটি কেবল সরকারি হিসাবেই সারাদেশে ২২টি ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি ক্যাম্পাসের হদিস পেয়েছে এবং তা উচ্ছেদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। এছাড়া এরা বাণিজ্য বহাল রাখতে বিভিন্ন সময়ে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইবাইস ইউনিভার্সিটির সঙ্গে গোপন সমঝোতা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি উত্তরায় তাদের অবৈধ ক্যাম্পাসের ছাত্রদের ইবাইসেরই অবৈধ আরেক ক্যাম্পাসে ক্রেডিট ট্রান্সফার নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ক্যাম্পাস ভাঙচুরের ঘটনা পর্যন্ত ঘটে।

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ ক্যাম্পাস ও মালিকানা দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজশাহী ও রংপুরে অবৈধ ক্যাম্পাস রয়েছে। যদিও গত মাসে রাজশাহীর দুটি ক্যাম্পাস উচ্ছেদ করা হয়। লিডিং ইউনিভার্সিটির নামে ঢাকা একটি আউটার ক্যাম্পাস (৮৩ সিদ্ধেশ্বরী) পরিচালিত হচ্ছে।


যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা দ্বন্দ্ব এবং অবৈধ ক্যাম্পাস রয়েছে, ওইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) আতফুল হাই শিবলী। তিনি বলেন, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে এক ধরনের ঝুঁকি থেকে যায়। ইউজিসির ওয়েবসাইট দেখে ও খোঁজখবর নিয়েই শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

No comments