Breaking News

অবশেষে ফাঁস হওয়ার পথে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি’র মালিক মাওলানা সাদেকের জালিয়াতি

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাসহ ছবি তোলার সাংবিধানিক অধিকার শুধু মহামান্য রাষ্ট্রপতিরই রয়েছে। কিন্তু মাওলানা সাদেক সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতীয় পতাকাসহ ছবি তুলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে যাচ্ছেন।



বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা রিপোর্ট: উত্তরা, ঢাকাস্থ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি’র মালিক মাওলানা সাদেকের জালিয়াতির যেন শেষ নেই। ১৯৯৪ সালে শ্বশুর বিশিষ্ট শিল্পপতি মো: আজিজুল্লাহর টাকায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। কিছুদিন পর শ্বশুর পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয়টির মালিকানা থেকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে তার জালিয়াতি কর্মকাণ্ডের শুরু। জাল সার্টিফিকেট বিক্রী, সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি, মুদ্রা পাচার, অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনা, নারী কেলেঙ্কারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি নিজ নামে ট্রান্সফার, অবৈধ ট্রাস্টি বোর্ড গঠন, অবৈধভাবে ভিসি প্রো-ভিসি ট্রেজারারের পদ দখলে রাখা, স্বজনপ্রীতি, অন্যের রচনা নিজ নামে প্রকাশ ইত্যাদি বহুবিধ দুর্নীতির মহানায়ক মাওলানা সাদেক। তার সর্বশেষ কীর্তি হলো নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের বাণী জালিয়াতি করে সাপ্লিমেন্ট বের করা। 

বিষয়টি বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তারা তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক গত ৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর আক্তারুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন যুগ্ম সচিব মো: বেলায়েত হোসেন এবং ইউজিসি’র পরিচালক মো: মোখলেছুর রহমান। আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্তপূর্বক রিপোর্ট জমা দিতে কমিটির উপর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মনে করছেন এবার ধুরন্ধর সাদেককে ধরা পড়তেই হবে। মাওলানা সাদেকের দুর্নীতি ও অনিয়মের উপর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এ পর্যন্ত যত রিপোর্ট হয়েছে তা একত্রে প্রকাশ করলে হাজার পৃষ্ঠার একটি পুস্তক হবে বলে সংশ্লিষ্ট মিডিয়া কর্মীরা মনে করছেন। অবশ্য দুদকসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান তার ব্যপারে অনেক তদন্ত করেছে। কিন্তু সবকিছুই ভোজবাজির মতো মিলিয়ে যায়। মাওলানা সাদেক এ পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছেন। এ বিষয়ে এশিয়ানের প্রাক্তন শিক্ষক প্রফেসর সাহেদ হারুন বলেন- আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় মিশরস্থ আল আজাহার ইউনিভার্সিটির কনভোকেশনে মাওলানা সাদেককে সঙ্গে নিয়ে যাই। অনুষ্ঠান শেষে আমরা মিশরের জাদুঘর পরিদর্শনে গেলে মাওলানা সাদেক হঠাৎ করে ফেরাউনের লাশের পা-যুগল ধরে বিভিন্ন দোয়া প্রার্থনা অর্থাৎ কুফরি আমল করে। অনেকে মনে করছেন, এই কারণেই মাওলানা সাদেক সব অপকর্ম করেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। যেহেতু সব কিছুরই শেষ আছে, অতএব মাওলানা সাদেকেরও জালিয়াতি ফাঁস হওয়ার সময় এসেছে। 

Ref: http://bporikromanewsbd.com/news/article/954/%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8-%E0%A6%B9%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A5%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E2%80%99%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF

No comments