ফাঁস ঠেকাতে ৩২ সেট প্রশ্নপত্র- বিভ্রান্তি ছড়ালে সাজা
আগামী বছর প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ ৩২
সেট প্রশ্নপত্র হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বুধবার সচিবালয়ে
শিক্ষামন্ত্রণালয়ে জেএসসি জেডিসি ও প্রশ্নপত্র ফাঁসনিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে শেষে
তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালেও তাৎক্ষণিক
সাজা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
১৯৮০ সালে করা আইনটি পুনরায় সংশোধন করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী
বলেন, আগামী বছর থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র করা
হবে ৩২সেট। এর আগে ছিল মাত্র ২টি সেট। কোনো একটি প্রশ্নপত্রের সেট ফাঁস হলেও পরীক্ষায়
কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, প্রশ্ন হাতেনাতে
পেলে, কেউ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করলে যেমন- একটা
প্রশ্ন বানিয়ে ফেসবুকে দিলে, সাজেশন আকারে
দিলেও তাৎক্ষণিক শাস্তি পাবে। আইনটি ওয়েবসাইটে দিয়ে সকলের মতামত নেয়া হবে বলে জানান
মন্ত্রী।
প্রশ্ন ফাঁসের একটি আইন থাকলেও সেখানে শাস্তির বিষয়টি যথেষ্ট
নয় উল্লেখ করে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘দ্য পাবলিক
এক্সামিনেশনস (অফেন্স) ১৯৮০ আইন’- এ আগে ১০
বছর সাজা থাকলেও তা সংশোধন করে চার বছর সাজা করা হয়। বর্তমানে আইনটি ‘দ্য পাবলিক এক্সামিনেশনস (অফেন্স) ১৯৮০ (অ্যামেন্ড ১৯৯২) আইন’ নামে পরিচিতি। তিনি বলেন,
১৯৯২ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। আগে প্রশ্ন ফাঁসের সাজা ১০ বছর ছিল। কেন কমিয়ে
চার বছর করা হলো। আইনটির কেন প্রয়োগ নেই তা রহস্যজনক।
কোচিং সেন্টারগুলো থেকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ আসায় ধীরে ধীরে
এগুলো বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,
ক্লাসের পড়া ক্লাসেই পড়ালেই শিক্ষার্থীরা কোচিংয়ে যাবে না। দীর্ঘ দিনের মূল্যবোধের
ঘাটতি জাদুর কাঠি দিয়ে এক দিনে তো বদলাতে পারি না। এছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্র ধীরে ধীরে
কমানো হবে বলেও ইঙ্গিত দেন মন্ত্রী।
No comments
Post a Comment