Breaking News

সংখ্যার আধিক্য নয়, প্রকৃত শিক্ষার অঙ্গন প্রয়োজন

গত কয়েক দিনের পত্রিকায় দেখা যায়, সরকার ২৩টি শর্ত  দিয়ে আরো দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে দেশে বিদ্যমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হলো ৯৯টি। ইউজিসির ওয়েবসাইট থেকে দারুল ইহসান এবং আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির নাম মুছে দেয়ার কারনে এখন ৯৯টিই বিদ্যমান। এ দুটি নিয়ে সেঞ্চুরির কাছে পৌছে গেল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা। 


মাঝে মাঝে পত্রিকার পাতা ওল্টালে আতকে ওঠার মত সব খবরের মুখোমুখি হতে হয়, যেমন  ২০ জুলাই ২০১১ তারিখের দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত প্রথম পাতার দ্বিতীয় হেডলাইনের খবর ছিলমেধাশুন্য প্রশাসন, ইংরেজি ড্রাফট করতে কনসালট্যান্ট ভাড়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগে ইংরেজি জানা কর্মকর্তাদের খুজে পাওয়া দুস্কর। তাই সরকারের অর্থায়ন চুক্তি বা অন্য যে কোন চুক্তির ড্রাফট তৈরি করে পাঠাচ্ছে উন্নয়ন সহযোগীরাই। অনেক ক্ষেত্রে মোটা অংকের অর্থ খরচ করে কনসালট্যান্ট ভাড়া করে তাদের কাছ থেকে ড্রাফট তৈরি করে নিতে হচ্ছে। ফলে আইনটির খসড়া নিয়েও অন্ধকারে থাকেন কর্মকর্তারা। প্রতিবেদনে আরও প্রকাশ, কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ইংরেজি রয়েছে এমন কোন কাজ থাকলে কর্মকর্তারা পরদিন ছুটিতে থাকছেন, কেউবা অসুস্থ্যতার দোহাই দিয়ে কাজ এড়িয়ে যাচ্ছেন।

আমরা আর মেধাশুন্য প্রশাসন চাইনাআমরা আর মেধাশুন্য শিক্ষকও চাইনা।  আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাধিক্য চাইনা। আমরা আর বিশ্ববিদ্যালয়কে সনদ বিক্রির দোকান হিসেবে অভিহিত করতে চাই না। আমরা চাই প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে গবেষণাগার থাকবে-হবে প্রকৃত অর্থেই  এক একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

No comments